Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ইএসডিও সাউথ এশিয়া ওয়াশ রেজাল্ট প্রজজক্ট-২

সাউথ এশিয়া ওয়াশ রেজাল্ট প্রজেক্ট-২ (সফল) প্রকল্প পরিচিতি

প্রকল্পের নাম: সাউথ এশিয়া ওয়াশ রেজাল্ট প্রজেক্ট-২

 

প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ইকো সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) এর পরিচিতি :

১৯৮৮ সালে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল এর উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের সহযোগীতা প্রদানের জন্য ঠাকুরগাঁও- এর একদল উন্নয়নকামী যুবক এগিয়ে আসে। পরবর্তীকালে সমাজের বিশেষত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির খুব কাছাকাছি আসার কারনে তারা অনুভব করেন যে একটি সংগঠিত কর্মপন্থাই পারে এইসব পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী সাধারণভাবে এবং বিশেষত নারীদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে। তাদের এই আতœ-উপলব্ধি থেকেই ৩ এপ্রিল ১৯৮৮ সালে ইএসডিও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ লাভ করে।

 

ইএসডিও ভিশন ঃ  পারষ্পরিক ভেদাভেদমুক্ত একটি সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।

 

ইএসডিও মিশন ঃ  ব্যাপক আয় বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রাথমিক শিক্ষা ও স্বাক্ষরতা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, মানবাধিকার ও সুশাসন, পরিবেশ উন্নয়ন ইত্যাদি কর্মসূচীর মাধ্যমে দরিদ্র জনগণের আয় বৃদ্ধি করে অর্থনৈতিক দারিদ্র হ্রাস এবং মানবীয় সুকুমার বৃত্তিসমূহের চর্চা ও উৎকর্ষসাধন। সংস্থা তার এই লক্ষ্যে দৃঢ় এবং সে জন্য কার্যকরভাবে মানবাধিকার পরিস্থিতি উত্তরণ, মানবীয় মর্যাদা ও নারী  পুরুষের সমতা নিশ্চিতকরণে লক্ষিত জনগোষ্ঠির সামাজিক, অর্থনৈতিক ও মানবীয় গুণাবলীর ক্ষমতায়নে কাজ করছে। সার্বিকভাবে নারী এবং বিশেষভাবে শিশুরা ইএসডিও’র কার্যক্রমের মূল কেন্দ্রবিন্দু। সকল ধরণের সেবায় অতিদরিদ্র মানুষের সুযোগ ও অভিগম্যতা নিশ্চিত করাই মূল লক্ষ্য।

 

অর্থায়নে :  ওয়াটারএইড বাংলাদেশ।

 

ওয়াটারএইড একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা। বর্তমানে সারা পৃথিবীতে ২৬ টি দেশে ওয়াটারএইড নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্য আচরণ নিয়ে কাজ করে। বাংলাদেশে ওয়াটারএইড এর কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৮৬ সালে।

 

ওয়াটারএইড ভিশন : ওয়াটারএইড পৃথিবীকে এমনভাবে দেখতে চায় যেখানে সকলের জন্য নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিনের ব্যবস্থা আছে।

ওয়াটারএইড মিশন: ওয়াটারএইড-এর লক্ষ্য নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্যবিধি আচরণ এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবন মানের উন্নয়ন করা। ওয়াটারএইড কাজের ভাল ফলাফলের জন্য এনজিওদের সাথে বাস্তবায়নের কাজ করে এবং বিভিন্ন  পর্যায়ে সিদ্ধান্তগ্রহণকারীদের মতামতকে প্রভাবিত করে।

 

ওয়াশ রেজাল্ট প্রকল্প সম্পর্কে ধারনাঃ

 

ওয়াশ রেজাল্ট প্রকল্প ডিএফআইডি এর অর্থায়ন ও সহযোগিতায় কৌশলগত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত। প্রকল্পটি ওয়াটারএইড বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (প্ল্যান বাংলাদেশ, ওয়েডেক) ও অন্যান্য সংস্থার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

 

প্রকল্পের মেয়াদকাল:

 

১ এপ্রিল ২০১৭ হতে ৩১ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত। আউটপুট ফেইজ: জুন ২০১৭ হতে জুন ২০১৯ পর্যন্ত। আউটকাম ফেইজ: জুলাই ২০১৯ হতে মার্চ ২০২১ পর্যন্ত।

 

প্রকল্প কর্মএলাকা: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১৮ টি ইউনিয়ন। যথাক্রমে: আক্চা, আখানগর, আউলিয়াপুর, বালিয়া, বড়গাঁও, বেগুনবাড়ী, চিলারং, দেবীপুর, গড়েয়া, জামালপুর, জগন্নাথপুর, মোহাম্মদপুর, নারগুন, রহিমানপুর, রাজাগাঁও, রুহিয়া পশ্চিম, রায়পুর ও শুখানপুকুরী।

 

প্রকল্পের জনবল: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা অফিসে ৯ জন (পিএম-১ জন, মনিটরিং অফিসার-১ জন, ইঞ্জিনিয়ার-১ জন, ফাইনান্স অফিসার- ১ জন, কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট অফিসার- ৩ জন, ২ জন সাপোর্ট স্টাফ) কী স্টাপ বসবেন। ১৮ টি ইউনিয়ন ১৮ টি অফিস থাকবে, প্রতিটি অফিসে ৩ জন হিসাবে মোট ৫৪ জন ইউনিয়ন ফ্যাসিলিটেটর বসবেন। পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডে ৯ জন করে মোট ১৬২ জন কমিউনিটি ভলান্টিয়ার থাকবেন। এই প্রকল্পের মোট জনবল- ২২৫ জন।

 

প্রকল্প বাস্তবায়ন পর্যায়: কর্ম এলাকার কমিউনিটি, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা সহ মোট চার পর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।

 

প্রকল্পের লক্ষ্য ঃ  বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের দরীদ্র জনগোষ্ঠি ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন সুবিধা ও উন্নত স্বাস্থ্য বিধি অভ্যাস চর্চা বৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন।

 

প্রকল্পের উদ্দেশ্য ঃ

 

নিরাপদ পানি: প্রকল্প এলাকার শতভাগ জনগন নিরাপদ পানির উৎসের পানি পান ও  ব্যবহার করছে।

স্যানিটেশন: উপকারভোগী সকল খানা স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার করছে, যার মধ্যে শতকরা ৭৫ ভাগ উন্নত ল্যাট্রিন ব্যবহার কারী।

স্বাস্থ্যবিধি অভ্যাস: উপকারভোগী জনগোষ্ঠি উন্নত হাত  ধৌত করার অভ্যাস চর্চা করছে।

গভর্নমেন্ট সিস্টেম: ইউনিয়ন পরিষদ তার এলাকার ওয়াশ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে ও সমন্বয় করছে।

 

প্রকল্পের কার্যক্রম:

 

নিরাপদ পানি:

মুল কাজ সমুহ:

১.১: এলাকা উপযোগী ওয়াটার পয়েন্ট স্থাপন

১.২: প্রচলিত ওয়াটার পয়েন্ট মেরামত ও সংস্কার

১.৩: পানির গুনগত মান পরীক্ষা

১.৪: ত্রৈমাসিক সভা ও অন্যান্য কার্যক্রমের মাধ্যমে স্টেকহোল্ডারদে সম্পৃক্ত করণ

১.৫: বিশ্ব পানিদিবস উদযাপন

১.৬: ওয়াটার পয়েন্ট মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ জন্য কেয়ারটেকার ও কমিউনিটি মেকানিকদের প্রশিক্ষণ

 

স্যানিটেশন:

মুল কাজ সমুহ:

২.১: গনজাগরনের মাধ্যমে খানা পর্যায়ে ল্যাট্রিন স্থাপন ও ব্যবহার নিশ্চিত করা

২.২: অতি দরীদ্র, সুবিধা বঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী মানুষদের সহযোগিতার মাধ্যমে ল্যাট্রিন স্থাপন

২.৩: স্যানিটেশন মার্কেটিং বিষয়ে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ও স্যানিটেশন উপকরণের প্রসার করণ

২.৪: ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে স্যানিটেশন মাস উদযাপন

২.৫: স্থানীয় পর্যায়ে স্যানিটেশন অবস্থা উন্নয়নের জন্য ইউনিয়ন ওয়াশ স্ট্যান্ডিং কমিটির সক্ষমতার উন্নয়ন

২.৬: ওয়ার্ড লেভেল সিবিও গঠন

 

 

স্বাস্থ্যবিধি অভ্যাস:

মুল কাজ সমুহ:

৩.১: হাত ধোয়ার অভ্যাস চর্চা  বিষয়ে কমিউনিটি পর্যায়ে ক্যাম্পেন আয়োজন

৩.২: নারী ও এডোলেসেন্ট দের সাথে হাইজিন বিষয়ে বিশেষ করে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া বিষয়ে উঠান বৈঠকে আলোচনা

৩.৩: ওয়াডর্, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে ওয়াশ বিষয়ে বৃহৎ পরিসরে প্রচার/ দিবস উদযাপন

৩.৪: উপজেলা এবং কমিউনিটি পর্যায়ে পপুলার থিয়েটার/ চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে ওয়াশ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি

৩.৫: বিলবোর্ড এবং দেয়াল লিখনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিধি অভ্যাস চর্চার তথ্য প্রচার

৩.৬: বিশ্ব হাতধোয়া দিবস উদযাপন

­

গভর্নমেন্ট সিস্টেম:

৪.১: উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয় সরকার /প্রতিনিধিদের অংশ গ্রহনের প্রকল্প অবহিত করন কর্মশালা আয়োজন

৪.২: ওয়াশ প্রকল্প সমন্বয় করনে ইউনিয়ন পর্যায়ে পরিকল্পনা কর্মশালার আয়োজন

৪.৩: ওয়াশ বিষয় ও টেকসই উন্নয়ন সম্পর্কে সরকারী ও স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের শিখন পরিদর্শন

৪.৪: ওয়াশ প্রকল্প বাস্তবায়ন বিষয়ে কর্মী প্রশিক্ষণ এবং অবহিত করন

৪.৫: মাসিক অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা।

৪.৬: আইইসি ও বিসিসি উপকরণ, নির্দেশিকা ও প্রশিক্ষণ মডিউল উন্নয়ন ও মুদ্রন

৪.৭: ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে স্থায়ী কমিটির সভা

 

প্রকল্প থেকে প্রাপ্ত সহযোগীতা:

 

             উপজেলা অবহিতকরণ কর্মশালা- ১ টি।

             ইউনিয়ন অবহিতকরণ কর্মশালা- ১৮ টি।

             লোকাল এন্টারপ্রেইনারকে সাপোর্ট প্রদান- ৩ টি।

             বিল বোর্ড স্থাপন- ১৯ টি।

             কোয়ার্টারলি স্টেকহোল্ডার মিটিং উপজেলা পর্যায়ে- ১৫ টি।

             ইউনিয়ন ওয়াশ স্ট্যান্ডিং কমিটি মিটিং- ৪৩২ টি।

             ইউনিয়ন ওয়াটসান কমিটি মিটিং- ৮৬৪ টি।

             ইউনিয়ন প্লানিং ওয়ার্কশপ- ১৮ টি।

             ইউনিয়ন প্লানিং মিটিং- ১৮ টি।

             সিবিও পর্যায়ে মিটিং- ৬৮০৪ টি।

             নলকূপ দক্ষ মেকানিক্স তৈরী ও কেয়ারটেকার প্রশিক্ষণ- ২ ব্যাচ।

             নিরাপদ মল ব্যবস্থাপনার জন্য স্যানিটেশন কর্মী তৈরী ও সহায়তা- ১ব্যাচ।

             স্যানিটেশন মার্কেটিং এর জন্য স্থানীয় উদ্দোক্তা তৈরী ও সহায়তা- ১৮ জন।

             সিবিও লিডারদের প্রশিক্ষণ- ৭২ ব্যাচ।

             উপজেলা ইউনিয়ন ভিত্তিক বিভিন্ন দিবস উদযাপন- ১৭১ টি।

             পপুলার থিয়েটার প্রদর্শন-১০৮ টি।

             অতি দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে নলকূপ স্থাপন- ১৮টি।

             অতি দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে নলকূপ মেরামত ও গোড়াপাকা- ২৮২৫ টি।

             অতি দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে ল্যাট্রিন স্থাপন- ৭০০০ সেট।